আমাদের পরিচয়
তারুণ্যের শক্তি, ভবিষ্যতের দীপ্তি
আমাদের এই প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বব্যাপী তরুণদের কণ্ঠ, কল্পনা ও মূল্যকে তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমরা বিশ্বাস করি—তরুণরা শুধু আগামীর নেতা নয়, তারা আজকের পরিবর্তনের অগ্রদূত
"২৪-এর চেতনায় আগামীর তারুণ্য"
এইটি একটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মডেল সম্মেলনের নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালার ধারাবাহিক আয়োজন, যা বাংলাদেশের সকল (৪৯৫টি) উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে। এই কার্যক্রমের চূড়ান্ত সম্মেলনের নাম হবে “তারুণ্যের জাতিসংঘ ২০২৪”, যেখানে সারা দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে নির্বাচিত ৫০০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
তারুণ্যের পক্ষে আমাদের অবস্থান
আমরা বিশ্বাস করি, তরুণরা শুধু ভবিষ্যতের নেতৃত্ব নয়—তারা বর্তমানের পরিবর্তনের স্থপতি। আমাদের লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী তরুণদের ক্ষমতায়ন, সংযুক্তকরণ ও কণ্ঠস্বরকে উচ্চকিত করা। আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করি, যেখানে তরুণদের অংশগ্রহণ একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি।
১। নেতৃত্ব গড়ে তোলা: বাংলাদেশের তরুণদের কূটনৈতিক দক্ষতা, আলোচনার কৌশল এবং সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তির মতো নেতৃত্বগুণে দক্ষ করে তোলা, যেন তারা ভবিষ্যতের পরিবর্তনদ্রষ্টা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
২। অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা: গ্রামীণ ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে তারা সমবয়সী ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মত প্রকাশ ও সংলাপে অংশ নিতে পারে—বৈচিত্র্য ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে।
৩। বিশ্বব্যাপী পরিচিতি বাড়ানো: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছায়া জাতিসংঘ (MUN) আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে কিশোর-তরুণ উন্নয়ন ও কূটনীতিতে একটি বৈশ্বিক নেতৃত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত করা।
৪। কার্যকর উদ্যোগের সৃষ্টি: তৃণমূল পর্যায়ের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের নেতৃত্বে গঠনমূলক ও বাস্তবমুখী সমাধানের প্রস্তাবনা তুলে ধরা।
তারুণ্যের ছোঁয়ায় আগামীর বাংলাদেশ
আমরা বিশ্বাস করি, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ সমাজে নিচের প্রভাবগুলো সৃষ্ট হবে:
১। নেতৃত্ব বিকাশ:
বাংলাদেশের তৃণমূল তরুণ সমাজ থেকে প্রতিভাবান ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বগুণসম্পন্ন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এবং তাদের বিকাশের পথ সুগম করা।
২। জুলাই’২৪ আন্দোলনের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া:
বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় সাধারণ তরুণদের মাঝে জুলাই ২০২৪-এর আন্দোলনের অনুপ্রেরণা ও চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া।
৩। “পুনর্গঠন বাংলাদেশ” ভাবনার উৎপত্তি:
দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে তরুণদের অংশগ্রহণে বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী ধারণা তৈরি করা—যা বাংলাদেশের পুনর্গঠনের রূপরেখা দিতে পারে।
৪। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিনিধিত্ব:
বাংলাদেশি তরুণদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে নেতৃত্ব, চিন্তা ও কণ্ঠস্বর তুলে ধরার সুযোগ তৈরি করা।
হাউজ অফ ইয়োথ ডায়লগ (HYD)
House of Youth Dialogue (HYD) একটি আন্তর্জাতিক তরুণভিত্তিক সংগঠন, যা নেতৃত্ব, কূটনীতি, এবং বৈশ্বিক সচেতনতা গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। HYD তরুণদের জন্য বিশ্বব্যাপী Model United Nations (MUN) সম্মেলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে, যাতে তারা জাতিসংঘের কাঠামো, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সমসাময়িক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারে। HYD এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি সম্মেলন আয়োজন করেছে এবং ১ লাখেরও বেশি তরুণ প্রতিনিধিকে সংযুক্ত করেছে। সংগঠনটি তরুণদেরকে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে নেতৃত্ব প্রদানে প্রস্তুত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ছায়া জাতিসংঘ (MUN)
ছায়া জাতিসংঘ (Model United Nations বা MUN) হলো একটি শিক্ষামূলক সিমুলেশন যেখানে শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুশীলন করে। এতে অংশগ্রহণকারীরা কূটনৈতিক আচরণ, জনসমক্ষে বক্তৃতা, সমস্যা সমাধান, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক অভিজ্ঞতা অর্জন করে। MUN তরুণদের মধ্যে নেতৃত্ব, দলগত কাজের দক্ষতা এবং সচেতন নাগরিক হয়ে ওঠার গুণাবলি গড়ে তোলে, যা তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।